যারা স্টুডেন্ট আছেন, অনুরোধ থাকবে ধৈর্য্য নিয়ে সম্পূর্ণ লেখাটা পড়া শেষ করবেন।

 যারা স্টুডেন্ট আছেন, অনুরোধ থাকবে ধৈর্য্য নিয়ে সম্পূর্ণ লেখাটা পড়া শেষ করবেন।

যারা স্টুডেন্ট আছেন, অনুরোধ থাকবে ধৈর্য্য নিয়ে সম্পূর্ণ লেখাটা পড়া শেষ করবেন।

আজকাল বেশির ভাগ স্টুডেন্টদেরই একটা সমস্যা আছে, আর সেটা হলো, এরা সবাই ভালোবাসার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছে। এরা বলে তাদের নাকি সত্যি কারের প্রেম হয়ে গেছে। 

তাহলে আমি আপনাকে বলতে চাই,

এই বয়সে প্রেম/ ভালোবাসা বলে কিছু হয় নাহ। আর যদি সেটা হয়, তবে তার সংখ্যাটা খুবই কম। তাই এই বয়সে যা কিছু হচ্ছে এটা কেবল মাত্র এট্রাকশন।

আর এটা প্রাকৃতিক একটা জিনিস।

আপনি ছেলে হলে মেয়ের প্রতি হবে আর মেয়ে হলে ছেলের প্রতি হবে। আর এই এট্রাকশন কেই আমরা ভালোবাসা নাম দিয়ে দেই!!

সত্যি বলতে, আপনার কোনো লাভ হয় নি আর কেউ যদি আপনাকে বলে সে আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে। তবে সেটা পরিক্ষা করে দেখুন, 

যেমনঃ 

আপনি তাকে বলুন আপনার শরীর অসুস্থ এবং আপনার কিছু টাকা দরকার। দেখবেন সে আপনাকে দেবে নাহ। কিন্তু একই কথা আপনি আপনার বাবা মা কে বলে দেখুন, তারা ঠিকই দিয়ে দিবে।

আর যদি প্রয়োজন হয় এরা আপনার জন্য নিজেদের বিক্রি করে দিবে।আর এটাই হচ্ছে রিয়েল লাভ!!

আর আজ লোক এট্রাকশনকে লাভ মনে করছে। আর এর জন্য নিজের জীবনকেও নষ্ট করে দিচ্ছে। আর এই সব কিছু আপনি ভূল করছেন। আপনার ক্যারিয়ার ছেড়ে যদি আপনি এই সবকিছু করেন তাহলে আপনার জীবনটাই নষ্ট হয়ে যাবে।

আপনি যে সম্পর্ক তৈরি করেন আপনার স্কুল, কলেজ কিংবা কোচিংয়ে এসব সম্পর্ক পারমানেন্ট সম্পর্ক হতে পারে নাহ!!

আপনি যদি আপনার গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড কে বিয়ে করেন তাহলে সেটা আপনার জন্য বেস্ট ছেলে/মেয়ে হবে। কিন্তু আপনার বাবা মা যাকে পছন্দ করবে সেটা আপনার জন্য ইউনিক হবে। যদি আপনি বেস্ট পছন্দ করেন তবে আপনি নাম্বার ওয়ান হবেন, আর যদি ইউনিক পছন্দ করেন তাহলে আপনি (You will only one) ইউ উইল ওয়ানলি ওয়ান হবেন। 

তাই আপনার যদি ভালোবাস তেই হয় তবে আপনার বইকে ভালো বাসুন, আপনার কাজকে ভালোবাসুন।

কারণ এরা আপনাকে কখনোই ধোকাঁ দিবে নাহ, কিছু না কিছু অবশ্যই দিয়ে যাবে!!

দিন সবার জন্যই ২৪ ঘন্টার হয়। এমন না যে কেউ আলাদা করে সময় পায়। কিন্তু এই ২৪ ঘন্টায়ই কেউ ভালোবেসে পতি হতে চায় আবার কেউ পরিশ্রম করে কোরো পতি হতে চায়। এখন আপনিই ভেবে দেখুন, আপনি কি হতে চান?

লোক কিছু বছর পর যখন আপনার সঙ্গে দেখা করবে তখন তারা এটা জিজ্ঞেস করবে না যে আপনার কয়টা গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ত আছে। তারা এটাই জিজ্ঞেস করবে, আপনি কতো টাকা রোজগার করেন, আপনার যোগ্যতা কতোটা?

এটাই পৃথিবীর নিয়ম লোক কখনওই আপনার অবস্থা জিজ্ঞেস করবে নাহ তারা আপনার আর্থিক অবস্থা জিজ্ঞেস করবে। 

আজকাল লোক প্রমিস করে আমি তোমার সাথে সারা জীবন থাকবো। তাহলে আমি বলবো কেউ কারোর সাথে থাকে নাহ, লোক যখন জানাযায় যায় তখনও কেবল কাধ অদল বদল করে নিয়ে যায়।

আর তাই এখন যদি আপনি মাথা নিচু করে পড়েন, আমি বলছি কিছুদিন পর আপনার মাথা সবার উপরে থাকবে। আর এখন যদি আপনি আরাম করার কথা ভাবেন তাহলে আপনার সারা জীবন কষ্ট সহ্য করতে হবে। আজ যদি আপনি আপনার বই কে আর কাজকে ভালোবাসেন তাইলে কাল লোক আপনাকে ভালোবাসবে!!

কোনো ড্রিম গার্ল/ড্রিম বয়ের জন্য কখনও নিজের বাবা মায়ের ড্রিমকে নষ্ট করবেন নাহ।

আপনি আজ যেটাকে খুশি মনে করছেন সেটা কোনো খুশিই নয়। সত্যি বলতে কোনো স্টুডেন্ট এখনও খুশি দেখেই নি।

খুশি আপনি কবে পাবেন জানেন??

যেদিন আপনি প্রথম সেলারি পাবেন কিংবা আপনি আপনার বিজনেস শুরু করবেন (সেটাও কিন্তু খুশি নয়)

কিন্তু যখন আপনি আপনার প্রথম সেলারি নিয়ে গিয়ে আপনার মায়ের হাতে দিবেন তখন আপনার চোখে পানি থাকবে।

তখন আপনি ফিল করবেন, যেই মায়ের আঙ্গুল ধরে আমি পথচলা শিখছি সেই মায়ের হাতেই আমি আমার প্রথম ইনকাম তুলে দিয়েছি। আর ঠিক তখনই আপনি সত্যিকারের খুশিটা ফিল করবেন। 

আর যখন আপনি ইনকাম করা শুরু করবেন তখন আপনি বুঝতে পারবেন, লক্ষ টাকারও কোনো মূল্য নেই সেই এক টাকার পিছনে, যখন আপনার মা স্কুল যাবার সময় আপনার হাতে দিতো!!

একটু ভালোভাবে বাবা মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখুন, এটাই হলো সেই আয়না, যেখানে সন্তান কখনও বৃদ্ধ হয় নাহ।

আর সব শেষ এটাই বলবো- 

জীবনে কখনো নিজের মাঝে অহংকার কে আসতে দেবেন নাহ।

কারণ অহংকার অনেক খারাপ জিনিস।

ছাদের অনেক অহংকার ছিলো তার ছাদ হবার, আর যখনই তার উপরে ঘর তৈরি হয়, তখন সে মেঝে হয়ে যায়। তাই অহংকার করবেন নাহ।

যেদিন আপনার মধ্যে অহংকার আশা শুরু করবে যে, আমি অনেক বড় হয়ে গেছি, অনেক কিছু জেনে নিয়েছি, অনেক কিছু পড়ে নিয়েছি, আমি অনেক সাকসেস হয়ে গেছি, সেদিন আপনি কোনো কবরস্থানে কিংবা কোনো শসানে গিয়ে দেখে আসবেন আপনার থেকে অনেক সেরা মানুষ আজ মাটির সাথে মিশে গেছে। তাই জীবনে কখনোই অহংকার করবেন নাহ!!

Leave a Reply

x