TikTok (টিকটক)-এর আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তায় থাবা বসাতে বছরদুয়েক আগে জনপ্রিয় অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম YouTube (ইউটিউব), TikTok-এর মতোই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও ফিচার Shorts (শর্টস) লঞ্চ করেছিল। আর করোনা মহামারীর সুবাদে লকডাউনে অধিকাংশ মানুষেরই অলস সময়ের সঙ্গী হয়ে এই YouTube Shorts এই ফিচারটিও বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইতিমধ্যেই Shorts ভিডিও বানিয়ে বহু মানুষ সোশ্যাল দুনিয়ায় জনপ্রিয় হয়েছেন। শুধু তাই নয়, ক্রিয়েটর বা নির্মাতারা অরিজিনাল YouTube Shorts কনটেন্ট বানিয়ে এখন হাজার হাজার টাকা রোজগার করতে সক্ষম হচ্ছেন। তবে ইউজাররা যাতে Shorts বানিয়ে আরও বেশি টাকা পকেটস্থ করতে পারেন, তাই YouTube সম্প্রতি একটি দারুণ ঘোষণা করেছে।
YouTube Shorts-এর নয়া ফিচার
শর্টসের বিপুল লোকপ্রিয়তা ও চাহিদাকে প্রত্যক্ষ করে ইউটিউব এখন শর্টসের জন্য নতুন ভিডিও এফেক্টের পাশাপাশি বেশ কিছু এডিটিং টুল অ্যাড করার পরিকল্পনা করছে। সুতরাং, নির্মাতারা শীঘ্রই আরও উন্নত মানের শর্টস তৈরি করতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি কোনো শর্টসে দর্শকরা কমেন্ট করলে ক্রিয়েটররা এখন তার রিপ্লাই দিতে পারবেন। তবে যেমনটা আগেই বলেছি যে, শর্টসের উৎপত্তিই হয়েছে টিকটক থেকে, সেভাবেই এই ফিচারটিও টিকটকের থেকেই ধার করা! উল্লেখ্য যে, এই ফিচারটি অনেকটা Instagram-এর “Reels Visual Replies” (রিলস ভিজ্যুয়াল রিপ্লাইস)-এর মতো, যেখানে কেউ যদি কোনো ভিডিওতে কমেন্ট করে, তবে ক্রিয়েটররা আর একটি ভিডিওর মাধ্যমে তার রিপ্লাই দিতে পারেন।
এর পাশাপাশি ইউটিউব তার লেটেস্ট ব্লগ পোস্টে উল্লেখ করেছে যে, ক্রিয়েটররা যাতে শর্টস থেকে আরও বেশি টাকা রোজগার করতে পারেন, সেজন্য বেশ কিছু নতুন ফিচার অ্যাড করা হচ্ছে। যেমন এখন BrandConnect-এর মাধ্যমে ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন নির্মাতারা। এছাড়া, শর্টসে এখন Super Chat ফিচার যুক্ত হতে চলেছে, ফলে কয়েনকে টাকায় রূপান্তরিত করে এখন বেশ ভালোরকম রোজগার করা যাবে। সেইসাথে দর্শকরা এখন শর্টস দেখতে দেখতে শপিং এক্সপেরিয়েন্সও অর্জন করতে সক্ষম হবেন। কোনো শর্টসে দেখানো বেশ কিছু প্রোডাক্ট কোন কোন ই-কমার্স সাইটে উপলব্ধ তা ভিডিওর নীচে একটি তালিকা আকারে প্রদর্শিত হবে, যেখান থেকে পছন্দমতো প্রোডাক্ট সহজেই কিনে নিতে পারবেন দর্শকরা।
YouTube আরও জানিয়েছে যে, কী ধরনের কনটেন্ট তৈরি করলে তা দর্শকদের আকৃষ্ট করবে তা অনেকেই ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারেন না। তাই এই ব্যাপারে ক্রিয়েটরদের সাহায্য করতে YouTube Studio অ্যাপ্লিকেশনে বেশ কিছু নতুন ভিডিওমেকার গাইড তৈরি করা হচ্ছে, যাতে কী ধরনের কনটেন্ট তৈরি করলে দর্শকদের আকর্ষিত করা যাবে তা ক্রিয়েটররা খুব সহজেই বুঝতে পারেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্মাতাদের নতুন ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে আরও ভালোরকম ধারণা তৈরি করতে সহায়তা করবে। সব মিলিয়ে এতগুলি চটকদার ফিচারের সমাহারে YouTube-এর ইউজারবেসও যে এরপরে আরও বহুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে, সেকথা নিঃসন্দেহে বলাই বাহুল্য।